উত্তরবঙ্গ সহ সারাদেশের কৃষক ও চাষীরা সবাই তাকিয়ে আছে বোরো ফসলের দিকে। কারন কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে বোরো ধানের কাটা মাড়াইয়ের কাজ। নভেম্বর- থেকে মার্চের শেষ অবধি একাধিকবার হালকা, ভারি ও মাঝারি আকারের বর্ষনের আশির্বাদে তরতর করে বেড়ে ওঠে বোরো ধানের ক্ষেত। মধ্য মার্চ থেকে আগাম লাগানো বোরো ধানে ‘গামড়’ (ধানের ফুল ) আসতে শুরু করে। এসময়টা ধানের গোড়ায় পানি ও আকাশের রোদ প্রয়োজন হয় । মাঝে মাঝের বর্ষনে ধানের গা ধোওয়ার কাজটা হয়ে যায় । ধানের গাছে বৃষ্টির ধারা সমস্ত ক্ষতিকর ভাইরাস থেকে রক্ষা করে । তরতাজা স্বচ্ছ ঝরঝরে হয়ে ওঠে ধান গাছ ।
কিন্তু এবছরের দীর্ঘস্থায়ী খরায় ওই কাজগুলো হয়নি।
গত তিন যুগে এত দীর্ঘ সময় বৃষ্টি হীন ছিলনা উত্তর জনপদ। তার উপর এপ্রিলের ৪ তারিখে কোথাও ঘুর্ণিবায়ু , কোথাও শিলার বর্ষন আবার বিভিন্ন স্থানে ‘হিটশক’ নামের গরম বায়ু প্রবাহ প্রবাহিত হয়ে গেছে ধান ক্ষেতের ওপর দিয়ে। যেসব এলাকায় ‘হিটশক’ বয়ে গেছে। সেসব স্থানে কপাল পুড়েছে বোরো চাষীদের, সম্পূর্ণ ধান গাছ যেন পুরে গেছে এই হিটশকে!!!