প্রদীপ এন্ড সোনা রায় ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ম্যারাথন রেস ও শীত বস্ত্র বিতরন

CORONAVIRUS অর্থনীতি আন্তর্জাতিক কাহারোল খেলাধুলা দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনোদন যোগাযোগ রাজনীতি
Spread the love

জাপান প্রবাসী ডক্টর প্রদীপ কুমার রায় ও ডক্টর সোনা রানী রায় এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রদীপ এন্ড সোনা রায় ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে গত ০৮-০১-২০২১ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতই হল- দ্বিতীয়, লক্ষীদ্র নাথ রায় মেমোরিয়াল ম্যারাথন রেস-২০২১ ইং ও শীত বস্ত্র বিতরন । উলেখ্য প্রয়াত লক্ষীন্দ্র নাথ রায় ছিলেন এলাকায় ভাল মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহন করেছিলেন তাড়গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। সাহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন অগ্রভাগের মানুষ। দাতা সদস্য হিসেবে সক্রিয়  ছিলেন সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে। ডক্টর প্রদীপ কুমার রায় হচ্ছে প্রয়াত লক্ষীন্দ্র নাথ রায়ের দ্বিতীয় পুত্র।

ম্যারাথন রেসটি কাহারোল উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সাহাপুর এ হওয়ায় গ্রামের সকল মানুষের আনন্দের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। প্রতিদিন পরিমিত দৌড়ান মন ও শরীর সুস্থ রাখুন এই শ্লোগান কে কেন্দ্র করে ম্যারাথন রেসটির আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন প্রয়াত লক্ষীন্দ্র নাথ রায়ের কর্মযোগ্যের বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা শ্রী সমরাজ দেবশর্ম্মা, প্রধান শিক্ষক (অবঃ) ছাতইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মোঃ মোসলিম উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক, সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয় । শতাধিক প্রতিযোগী শুরু করে ৫ কিলোমিটারের ম্যারাথন রেস। দ্রুততম সময়ে ম্যারাথন রেস সম্পন্ন করে দ্বিতীয় বারের মতো প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মিঠুন চন্দ্র রায়। ম্যারাথন রেসে অংশগ্রহন কারীদের প্রত্যেক কে একটি করে টিশার্ট প্রদান করা হয়। ম্যারাথন রেস সমাপ্তকারী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের সনদপত্র ও নগদ পুরস্কার আর প্রত্যেক সমাপ্তকারীদের দেওয়া হয় সনদপত্র। এরপর শীত বস্ত্র বিতরন করেন প্রয়াত লক্ষীন্দ্র নাথ রায়ের সহধর্মিণী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মীনা রানী রায়। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত লক্ষীন্দ্র নাথ রায়ের বন্ধু শ্রী দীনেশ চন্দ্র রায় (সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য) সহ এলাকার সকল পেশাজীবির মানুষ।

করোনাকে ভয় নয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে একে করতে হবে জয়। অনুষ্ঠানটির আহবায়ক শ্যামাকান্ত দেবশর্ম্মা, প্রভাষক (পরিসংখ্যান), এর সঞ্চালনায় সকলকে  ধন্যবাদ জানিয়ে ও প্রতিবছর এই ধরনের আয়জনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানটি অসংখ্য মানুষের অংশগ্রহনে ইংরাজি নববর্ষে  গ্রাম্য মেলায় পরিণত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *