হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
চার বছরের মধ্যে ১০ মাস ঘর বন্ধী। এটা কি ক্ষমতার দাপট নাকি করোনার কারনে আসহায় হাবিপ্রবি ভিসি। হ্যাঁ এটা উত্তর বঙ্গের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এর অভ্যন্তরীণ চিত্র। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) কিমিটি বিহীন ছাত্রলীগ এর একাংশ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে ভিসি মহোদয়ের সাথে দেখা করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। ঘটনার আড়ালে ঘটনা থাকে এখানেও এর ব্যতিক্রম না। বড়সর একটা নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে যেখানে অনেকেরই ছিল আশা প্রাপ্তির ঠিকানা কিন্তু বেরসিক ভিসি বেঁকে বসেছে তার বিদায় মুহূর্তে এই বিপদে নিজেকে আর জড়াবেন না। বিগত দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে এমন সিধান্ত তার। কল্পনা করা যায় এখন পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন বিভাগে ৪৩ জন শিক্ষক ও ২১ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে পেরেছেন মাত্র!
রাজনীতির উর্বর ভুমি হাবিপ্রবির ৮৫ একর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সবুজ ক্যাম্পাস। এখানে হলের গার্ড থেকে শুরু করে ভিসি পর্যন্ত রাজনীতিতে মগ্ন। ছাত্র/শিক্ষক রাজনীতি কি জিনিস হাবিপ্রবির ইতিহাস না ঘাঁটলে বুঝা মুস্কিল! এখনে শিক্ষকদের রাজনীতির জন্য ক্লাস বন্ধের ধর্মঘট হয়! রাজনীতির মারপ্যাঁচে খুন হয় মেধাবী শিক্ষার্থী। যার বিচার চলমান। খুনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও এখানে রাজনীতির মারপ্যাঁচে চাকুরী পায়। একটা চাকুরির জন্য ছাত্রলীগের সাথে বেইমানী করতেও এদের বুক কাঁপে না। ভেটেনারী অনুষদে নিয়োগ প্রাপ্তরা জলন্ত উদাহরন!
ক্ষমতার সমীকরণে ভিসি তার জায়গায় অনড় আর ছাত্রলীগের একাংশ হুদাই লাফালাফি করতেছে। আসলে তারা নিজেরাও জানেনা তারা কি চায়। সাধারন শিক্ষার্থীদের দাবি তারা সময়মত শিক্ষা জীবন শেষ করতে চায় কর্ম জীবনে প্রবেশ করতে চায়। কাউরো নাটক দেখার জন্য হাবিপ্রবিতে ভর্তি হয়নি। তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনের গ্যারান্টি চায়। বন্ধ হোক কু রাজনীতি হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে।